প্যলিওনড্রোম
যেভাবে প্রতিটা একলা মানুষ অধিকতর একলা
হতে চেয়ে দীর্ঘ কোন মিছিলে হাঁটে, আমিও গুছিয়ে রাখি একান্তের উজ্জ্বল খুঁটিনাটি, ভাঙা আদর, রঙীন জোড়াতালি, নেশার
ধূসর কৌতুক কিছু আর প্যালিনড্রোমিয় স্মৃতি। সন্ধ্যা নামলে সালতির কুপিগুলি স্থলের
কঠিন থেকে সলতে বোধ হয়, কত যে ফল্গুর এখনো পোড়া বাকি... ভাবো
তো, আবর্তন বলে আদৌ কিছু হয় কি? যে
কাশের দেউলে তুমি গাত্রহরিদ্রা এঁকেছিলে, গেল পূর্ণিমায় তা
ময়ূর মুছে লবণ হয়ে গেছে, যে চ্যুতি থেকে শিশু অশ্বত্থ আলোর
হামা টানছিলো, এখন হোম স্টের পরিত্যক্ত বীর্যের চাষ করে। অথচ শূন্য আর দুই নিয়ে আজ একের যত
হাড়হাভাতেগিরি। আয়নাকে হরবোলা মনে করে আমি খুলে রেখেছি আঙুলের চামড়া থেকে নখরা, গ্রীবা থেকে হাঁস,
পিঠ থেকে রডোডেনড্রন, সবই... স্মৃতি ফিরে এলে
জৈন চন্দ্রাতপটিতে খুঁজো, যক্ষেরা দূত হয়, দাস হবে না ভেবে সিসিফাস যক্ষীরা বয়ে যায় জন্ম জন্মান্তর ধরে ঝলসানো মাটির
দায়।
অহল্যা
ভ্রম ও ভ্রান্তির পলি সরে গেলে জেগে থাকে
নির্লিপ্ত স্ফটিক চরখানি, ব্যথার কোনো প্রতিচ্ছায়া পড়ে না কোনোদিন পদ্ম ও ভ্রমরের সংলাপে, পারদের চাঁদ ভেঙে জলে মিশে গেলে জোনাকিরা ধরে নেয় বহু জন্ম মীন দশা কাটালে
আলেয়া হয়ে সাঁতারের অধিকার পায় শঙ্খচূড় দম্পতি। তুমি কখনো দেখেছো, মানুষ কীভাবে নিজের রিপুদোষ আরোপ করে মস্তিষ্কহীন মহিষদের রণে ভেড়ায়?
অথচ তারই অধিগত শুদ্ধ বীজ ও স্বাহা চারণভূমি। মাঝে মাঝে কলহাস্যের
কিশোরী দেখি, সাধ হয় ফিরে যেতে, যেখানে
কখনো ছিলামই না আমি। কিছু জন্ম, ছায়াতে বকুল কুড়োনোর হয়,
কিছু, গর্ভে ব্রহ্মখণ্ড ধারণের, আর পঞ্চভূতে বিচ্ছিন্ন হওয়া অবধি ভ্লাদিমিরের খোলে আমার অপেক্ষাকে তুমি
দূর থেকে হেসে ভাবো সমর্পণের হয়রানি।
চিত্রঋণ- অমৃতা শের-গিল
অহল্যা
ReplyDelete'সাধ হয় ফিরে যেতে'!
ভালো লাগার অনুভূতি। নিজেকে চেনায়।
🙂
Deleteদুর্দান্ত
ReplyDelete❤
Deleteসুন্দর!
ReplyDelete🧚♀️
Deleteকবিতাগুলো তীব্রতা ও অন্ধকার এতই আশ্চর্যের যে মনে হয় এ কবিতা শুধু দুটিতেই সীমাবদ্ধ নেই, সোনালী হয়তো লিখেছে কবিতাগুচ্ছ ,যার অন্তর্গত এই দুটো কবিতা । কারণ, এরকম লেখা আসে গুচ্ছাকারে, এ লেখা একটা সময়ের জারণ যা ভীষণভাবে আলোড়িত করে ।
ReplyDeleteএই যে ধরে ফেলো, এই হেরে যাওয়ার আনন্দটা বোঝানো যাবে না
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteভাল লাগলো । কবিতা পড়ে আমি আনন্দ পেলে সেটাই আমার মুক্তি । তোমার কবিতা পড়ে আনন্দ পেয়েছি
ReplyDelete