~পাঠ
দাড়াও! কথা শুনে যাও ওই বোবা
পাখির
যে তাকিয়ে আছে তোমার দিকে ; অপলক
তার পালকে জমা আছে এক আদীম
সন্ধ্যা
মৌনফুলের অঘ্রাণ।
তোমার হাতে লিথিয়াম রিমোট
তুমি এক রক্তচোষা সুদৃশ্য
ললিপপ —
ক্যানো ভান কোরে আঁকছো
লক্ষ্মীপদ শ্রী?
থামো! পড়ে নাও ওর চোখ
জানো — ক্যামন কোরে
দিগন্তফল ঝরায়
মৃত্তিকার কার্পেট।
~ময়ূরাক্ষী বৈয়াম
সম্মুখে জল পরিশোধক মেশিন।
খোদাই কোরে লেখা —
পিউর ইট! ভিতরে স্বচ্ছ জল, টলটলে। ইচ্ছে হলো
ঝাঁপাই। আগাগোড়া শোধন হয়ে টপটপ কোরে টেপ বেয়ে নামি ; জড়ো হই
কারো আদিম ময়ূরাক্ষী রৈয়াম — যেখানে রোদ ভিজে যায়, শীত ভিজে যায়,
আলো ভিজে যায়, নদী ভিজে যায়, শাড়ি খুলে যায় সভ্য শষ্যকণার।
~দীর্ঘদেহী শ্বাস
ক্রমশ জাগছে
বন-রাক্ষস।পুরাণের কুম্ভকর্ণ আড়মোড়ায় ভাঙছে নিরব তৈজস। ইশারায় বঁধু খুব মৃদু তালে
খুলছে খোঁপা তার —
নথে ঝুলন্ত ব্যাবিলন (আর) মনিহারে আটকে আছে কিছু জমানো আফিম।গাঢ় এক
প্রশ্বাস। নত হয়ে আসে ঘর।জানালায় মাকড়ের সঙসারে হাবিজাবি কাটাকাটি। মজুর মশা রক্ত
পিপাসায় উড়ে উড়ে খোঁজে রমনীয় রক্ত জুশ। হুল ফোটায়। কূপ থেকে তুলে খায় মৃত্যু-ফরমান।
হঠাৎ ভীনদেশী হাসি টেমস
ছাপিয়ে আসে নূপুরের আওয়াজ বেশে। এমন প্রহেলিকা কাশেরুকায় জমে যায় কালশিটে শীতল
মেঘ।এক তরফা সারদ জেনে যায় টিকটিকির সারগাম — টিক..টিক ঠিক..ঠিক।
কোথা হতে আসে এই পথ।কোথায় ই
বা গড়ায়। জেনেছি প্লেটে চকচকে ভাত ধোঁয়াতে জানায় কৃষাণীর দীর্ঘদেহী শ্বাস।
~(বি)স্মরণ
টেবিলে সাজানো ফলদানি, নানান
ফল।পাশে ম্লান পড়ে আছে এক থালি ভাত।ফকফকে জোসনা রঙা জীবন বৃক্ষের দান। দোর্দণ্ড
গরিমা নিয়ে দেয়ালে ঝুলে আছে সময়। চোখ রাঙিয়ে উষ্কে দেয় পেটে রাখা বিপ্লব।কাকে
ছোঁবো আগে — ফল না ভাত?
দ্রুত খুলে নিলাম মুখোশ। কব্জি
ডুবিয়ে আঙুল রুয়িয়ে দিচ্ছি প্লেটে। প্রস্তুত দাঁত, জিহবা এবং গোডাউন।
হঠাৎ বাজলো ঘড়ি।জানালো সময়
পার। আমি খাচ্ছি য্যানো
ক্ষুধায় পৃথিবীর হাড়গোড় সব তচনচ করো চিবিয়ে খাচ্ছি।মনে পড়লো, দাদা বলতেন— "ওয়ান্স আই হ্যাড মাই ডিনার আন্ডার
দ্যা নেকেড মুন এন্ড ইট ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক"
এখন মধ্য রাত, যদিও চাঁদ
নেই। আমিও খাচ্ছি আর বলছি — হ্যাভিং মাই ডিনার এট টুয়েলভ ও'ক্লক। কে টুকে রাখবে এই সময়, কে আমার মতো কোরে স্মরণ
করিবে পূর্বকাল...
চিত্রঋণ- ভোর মুখোপাধ্যায়
ভাল লাগলো । ভাল লাগলো কবিতা
ReplyDelete