বাক্‌ ১৪০ ।। যখন লিখবো না ভাবি ।। সুকৃতি



এখন লেখার থেকে বড়ো কিছু নেই
তোমাকে দেওয়ার এই আঙুলের কাছে।
তাই সে লিখছে এই এলোমেলো গাঁথা,
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে,অথচ
গত মঙ্গলবারেই ভেবেছিল আর
সে কবিতা লিখবে না। এখন ভাবনা
পাল্টে গেছে; কলমকে বিশ্বাস হয় না,
আঙুলের প্রতিও বিশ্বাস হারিয়েছে।
কখন কী লিখে বসে কোনও ঠিক নেই!
তাই জবানবন্দিটা লিখে রাখা ভালো।

কালো কালো আলো আর অন্ধকার সাদা
হলেও আমার নাম যা তাই থাকবে
আমিও পাল্টাব না নিজেকে তবে আর।
প্রকাশ‍্যে বা আড়ালে হলেও ভালবাসা
স্বীকার করবো ভাবলেও, ধারণায়
আঘাত করার কথা ভাবছি এখন।
ভাবছি, তাহলে যদি অসৎই হতাম
হয়তো বা ঢেকে যেত ব‍্যর্থতার দায়।

শয়তানের পারদ পারদ খেলায়
যতো আয়নার আয়োজন থাকে ততো
মায়ার ধারণা, শীতে জাগিয়েছে ওম
আমিও আমার এই অনুভূতি গুলো
লুটের বাতাসা ভেবে কেন যে ছড়াই
কারণে ও অকারণ নিজেকে ভাঙতে
গিয়ে দেখি তছনছ করেছি তোমাকে।
যেন কেউ তোমার লেবুর গতিপথ
রগড়ে দিয়েছে ব‍্যর্থ কাঁচের জীবনে।

এখন সমস্ত কিছু স্বচ্ছ, পরিষ্কার
আঘাতের মতো সংবেদনায় ভরা।
তুমি তবু অ‍্যাসিডের মতো তীব্র হও।
আমি চাই ফেরাবার তোমাকে ধরতে
আর কোনও কাঁচের বিকারে নয়, কোনও
নলেও ধরার ইচ্ছা নেই! যতদিন
ক্ষারীয় হৃদয় ক্ষার খাওয়া ভুলছে না
নিজেকে স্বাধীন চোর মনে হয়, যেন
চাইলেই তোমাদের ছাদে যেতে পারি,
তোমার ফুলের টানে আসা প্রজাপতি
যখন তোমাকে দেখে নিজেকে হারায়,
অতিরিক্ত লাইনের মতো মনে হয়
নিজেকে তখন, মিথ‍্যা মনে হতে থাকে

আমার ভণিতা নেই, শুধু ছাই আছে
ভালবাসা নেই আর, কেবল বাহানা
তোমার ঘৃণার তলে হয়েছে দমন।
ফলে আর লিখবো না তোমার প্রেমিক
সেজে, বলবো না কথা পাখিদের সাথে।
তবু একদিন ঠিক পরজন্মবাদি
পাখির আঘাতে যতো ডানা ভাঙা মেঘ
নিঃসন্দেহে খুঁজে নেবে নদীর শরীর।

তোমার রাতের কাছে আমার আড়াল 
বলে ছিল না কিছুই কোনো কালে, ফলে
হলুদ পাতার মতো হয়েছি অবাক
সামান্য বাতাসে এই ঝরে যেতে যেতে
তাকাইনি ঘুরে তবু আর। তাকালেই
দেখতে পেতাম তুমি মিথ‍্যা হয়ে গেছ
অপরূপ; সততার রূপ নেই কোনো।


                              চিত্রঋণ- শোভিত রায়

No comments:

Post a Comment