সাত
ভাগ প্রাণায়াম আর তিন ভাগ পুষ্টিকর চাঁদ। এই নিয়ে দশ মাস দশ দিন।
আপনার
আর আপনার সন্তানের যৌথ আনাজপাতি, ঘরোয়া
রান্নার অসীমাকাশ।
এইসময় ক্রোধ একেবারেই ‘না’। শুধু ক্ষমা।
মনে
রাখবেন, ক্ষমার চাইতে আন্তরিক ত্রিপিটক আর
নেই। সময় পেলেই তাকে শোনাবেন আশাবরীর দ্যুতি। বলবেন, এই পৃথিবী
আসলে নন্দন-কানন। মৃগশিরার মুরতি।
অবশ্যই গান আঁকতে শেখাবেন তাকে। আর কয়েকটি মহৎ ভাস্কর্য, তথাগত অমনিবাস।
জানাবেন,
কপিলাবস্তুমুখী প্রতিটি ধ্যান আসলে তপস্যার অশ্রু মাখামাখি ঈশ্বরের আবাস।
গর্ভ এখন অপার আলোর সঞ্চারী। অলস ডাকঘর বইছে জানালায়। সময় কাটছে না, তাই না? তাহলে লিখে ফেলুন আপনার সন্তানের জন্যে একটি না-লেখা দোলনা।
লিখুন
অতীত সঞ্চয়ের তহবিল,
নদীতীর নির্মাণ। পাঠশালা প্রশ্নপত্র, আপনার স্কুলবন্ধুদের
ডাকনাম। শিশুবেলার বকবকম, তাকে শোনাতে পারেন দুষ্টুস্মৃতির টিফিনবাক্সো।
লিখতে পারেন আপনার ঠাকুমার বয়ামখানি, জল্পাইদুপুরে আচার চুরির গুপ্তরহস্য।
অবশ্যই
লিখবেন বৃষ্টি, বিদ্যুৎ এবং বিশ্বাস।
অপরামগ্ন
নীরবতাই যে প্রকৃত সাধক এবং সন্ন্যাস, তাকে জানাতে ভুলবেন না।
কবিতাচক্রের
পোখরাজ লিখবেন দু’এক ছত্র। বলবেন, তার মা নয় শুধুই মাতৃত্ব।
উজান-ভাঁটা
মুকুলের গোমেদ লেখা একজন ধ্রুপদী মহানন্দাও বটে।
আজকাল
তার হিমশিমগুলি চারিয়ে যাচ্ছে জলজ কদমে।
ভারি
লাগছে খুব? শ্বাস নিতেও কষ্ট? হবেই তো! আপনার
রুধিরস্রোতে স্পষ্ট তার ঝিনুকের ঢেউ। এখন আপনি তাকে শোনাতে পারেন,
লাল সোয়েটার পরা নির্ভেজাল কয়েকটি সরগমের বাতাসা।
আপনার
কণ্ঠ শুনে সে খুব হইচই! ইচ্ছে তার এখুনি মায়ের কোল, এখুনি কয়েক টুকরো সাঁতার।
গত
দশ মাস আপনার অন্দরে ঝিকমিক বইছে যে অনঙ্গশিখা, হাত ধরুন তাঁর। চোখে রাখুন চোখ। আপনার
ছায়া সে, আপনিও তার একমাত্র পাখিরোদ।
কান্নার
আনন্দে ভিজে উঠুক অমল মাতৃগ্রহটির চূড়ান্ত সেতার।
তার
সাথে আলাপ করিয়ে দিন সুরভিত সরোদ আর মৌরিফুল-সৌরলতার।
এই
মুহূর্তটি আসলে এক অলৌকিক সঙ্গীতের লাবডুব।
নক্ষত্রের
কাঁথাকানি জড়ানো সন্তানের পূর্ণমোহর আর মায়ের মোহপূর্ণতা।
চিত্রঋণ- শোভিত রায়
আপনার কবিতা আমার পাঠ করতে বেশ ভালো লাগে
ReplyDelete