সম্ভাবনার সূত্রসমূহ
আকাশের মেঘে প্রোব্যাবিলিটির অঙ্ক
লেখা থাকে
আর শান্ত বর্ধিষ্ণু পাড়ার
ইস্তিরিওয়ালারা আসলে এক একটা
টাইম পোর্টাল
বর্ধিষ্ণু কথাটি কি এইসব
পত্তন-পাড়ার ঠিক বিশেষণ?
শহরে কি কেউ একসঙ্গে
বড় হয়?
নাকি তারা টিউমারের মত
বাড়তে বাড়তে এক জায়গায়
আসে?
তারপরে চ্যুত হয়?
প্রোব্যাবিলিটি মানুষ কেন কষে?
ভালবাসে সে, নাকি ভালবাসে
না সে
বলতে বলতে কেন তারা
গোলাপের পাপড়িদের এত কষ্ট
দেয়?
কেন তারা নামের বানান
নিয়ে অঙ্ক অঙ্ক খেলে?
আপনি আমাকে কোনদিন
ফোন করবেন
এমন সম্ভাবনা কোথাও ছিল
না
আমি তাদের কোনদিন
নিজে থেকে ফোন করবো
এমন সম্ভাবনা কোত্থাও নেই
রিমকি মেমসাবের শাড়ি যে
রুমকি ঝিয়ের বাড়িতে আসবে
এমন সম্ভাবনাও কোথাও ছিল
না
তাহলে এমন হোল কেন?
যেমন চার বোনের এক
বোন রাজপুত্রকে
আরেক কোটালপুত্রকা
অন্যে মেঠাইলোভে হালুইকরকে
বিয়ে করেছিলো
রুমকি ঝি অমনি
আসমানি রঙের এক শাড়িকে
পাবার কামনায়
রেলিঙের গ্রিল থেকে উড়োপাখি
উড়োপাখি শাড়িকে পাবার কামনায়
ইস্তিরিওলাকেই বর পাতিয়েছে
এমন সব সম্ভাবনার অঙ্কে
গোঁজামিল
একটা গাছ এখনো স্থির
করতে পারছে না
মেয়ে হবে না পুরুষ
একটি মানুষ ঠিক করে
ফেলেছে
ভিতরে মেয়েই ছিল
বাইরে থাকুক যাই, মেয়েই সে
হবে
আপনি আমায় ফোন করছেন
ছটফট করছেন
ছিঁড়েখুঁড়ে দিচ্ছেন
কিভাবে?
আমি আবিষ্কার করেছি আমরা
সব্বাই যন্ত্র
ব্যর্থ প্রেমিকদের সফল
চিঠির কারুকাজ
ব্যর্থতাই সাফল্যের সিঁড়ি
কাদের ব্যর্থতা?
এই আবিষ্কারের জন্য
আমায়
নোবল প্রাইজই দিতে হতো
কিন্তু দেবে না
সাপের মুখেও
ব্যাঙ রাজপুত্র, তুমি হিসি করতে গিয়ে কেন কাঁদো?
জ্বালা করে? কষ্ট হয়? এসো চুমো দেবো
অজস্র প্রবাহ যেন
দুল্যমান অসংখ্য শিরায়
রোমময় অজস্র চামচ
নিজেকে আমার দিকে ঢেলে দিতে উদ্যত রেখেছো
তবু কেন রাত্তিরে কি কথায় অভিমানে জ্বলো
কোটরের ওইপাশে তাকাও, সাপের ছায়া খোঁজো
আমারো যে চেরা জিভ ভয় পাও তাতে? জিভ চেরা
সে কোন যুগের কথা, কুশঘাসে অমৃত ভেবে!
নিজেকে আমার দিকে ঢেলে দিতে উদ্যত রেখেছো
তবু কেন রাত্তিরে কি কথায় অভিমানে জ্বলো
কোটরের ওইপাশে তাকাও, সাপের ছায়া খোঁজো
আমারো যে চেরা জিভ ভয় পাও তাতে? জিভ চেরা
সে কোন যুগের কথা, কুশঘাসে অমৃত ভেবে!
সে প্রসঙ্গ অবান্তর
আজো মনে করো?
প্রস্রাবের সে ভূমিকা আছে?
সোনুল গাছের থেকে বাবলা গাছ অব্দি যে বাড়ি-
গন্ধে গেঁথে দেবে?
আচ্ছা এদিকে এসো
হাত ধরো
এখানে দাঁড়াও
শরীরেই টেরিটরি নেবো
গন্ধে গেঁথে দেবে?
আচ্ছা এদিকে এসো
হাত ধরো
এখানে দাঁড়াও
শরীরেই টেরিটরি নেবো
চিত্রঋণ-
শোভিত রায়
প্রথমটি নিয়ে বলি। লেখাটির যতটুকু দৈনন্দিন টুকরো টুকরো করে নিয়ে ফেলেছেড়ে খেলা, ততটুকু ভারী উপভোগ্য; এমনকি, যদিও তেমন ডিএনএ নেই, স্থানবিশেষে প্রোবাবিলিটি বা জীববিজ্ঞানের প্রায় চৌকাঠ ছুঁয়ে ফেলবার পালক কুড়িয়ে পেলেম। হয়তো লেখার মত করে একটি মৃদু দিকনির্দেশহীন বায়ুখন্ড গড়াচ্ছে, সে চত্ত্বরেও বেশ বসে থাকা যায়। কিন্তু প্রেমিক ও চিঠি, নোবেল ও ব্যর্থতা - কোন অনুষঙ্গই একটি আপাত শেষের দোহাই দিয়ে দানা বাঁধেনি, অন্তত আমার মনে। যদিও আরেকটু বিষয়ানুগ, ডিটেলনিখুঁৎ হলে মন্দ হত না।
ReplyDelete