বৃত্তের ভিতরে আলো
কেন্দ্র বরাবর ছিটকে আসা রশ্মি
ফালাফালা করে কেটে রাখা ছায়া
মানুষের টুকরো টুকরো প্রিজমিক মুখ
এভাবে সাত রঙ এলোমেলো জুড়ে গেলে
বিপ্লবের প্রকৃত মাধ্যম ভেঙে
আলপথে চকচকে ঘোরে অদৃশ্য মাটি
কোদাল থেকে নেমে এসেছে ছায়া
গাছের ভিতর মানুষ রঙের কেউ
ডানা মেলে উড়ে যায়
অলৌকিক কিছু ঘটে না কোথাও
অথচ আলোর মুখ পাশ ফিরে গেলে
প্রিজমিক মানুষের ভিতর কেউ
আল কেটে জল এনে রাখে
বীজতলা জুড়ে...
শস্যও ফেটে পড়ে অলৌকিক আশঙ্কায়
চিত্রঋণ- শোভিত রায়
ভালো লাগলো।
ReplyDeleteযতটুকু ওতপ্রোত ততটাই বিচ্ছিন্ন থেকে গেলাম প্রকাশের একটি চেনা ছককে সমূহ উপলগ্ধ করে। একাধিক "কেউ"-এর নেহাৎ র্যান্ডম আরবিট্রারী প্রয়োগ অথচ সেই কেউকে চেনবার কোনও প্রয়াস সচল নেই। প্রথম স্তবকের চার পংক্তিই যেমন একটি স্পষ্ট ছবির আরোও স্পষ্টতর বর্ণনা, দ্বিতীয় স্তবকে এসে তার স্থায়ীত্ব ভেঙে একটি সুররিয়াল ভেগ-এর মধ্যে প্রবেশের অকূলে আবসার্ডিটি আরেকটু অধিকার করতে পারত ভাষাকে। তাতে অপারগ, কয়েক ডিগ্রিতে, বস্তুতঃ, " গাছের থেকে নেমে এসেছে ছায়া" এমন এক ফার্স্ট ডিগ্রির মেটান্যারেটিভ বা গ্রাউন্ড লেভেল বিমূর্ততা যেখানে ভাষা কুন্ডলিত হয়নি। যদিও পুরো লেখাটি একটি অসাধারণ কেন্দ্রাতিগ কিন্তু অবয়বভাঙচুর চিত্রের শাব্দিক এক্সটেনশন - এ নিয়ে সন্দেহ নেই। এ-ও, চিত্র থেকে শব্দে বা চিত্ত থেকে সচেতনে ইন্টারপ্রিটেশনের পথটিও আলোকিত, সচল কিন্তু ও পথে পায়ের চিহ্ন পড়ে রয়েছে কিছু, আগে থেকেই।
ReplyDelete