যেভাবে বলিষ্ঠ পুরুষ দৃঢ় দৃষ্টি দিয়ে মেপে নিতে থাকে প্রতিবেশী তাকে আমি শৈব জানি। জানালার ওপারে দীর্ঘ হতে থাকে ছায়া। সে প্রতিবেশী চা চিনি নুন ডাল ছেড়ে সংবাদপত্র বেছে নেয়। পুরুষের আভিজাত্যকে সে শিকারি ভেবে ধরেছে কপাত করে।
আমি তার বুকের প্রতিটি জেলায় মধুমেহ খুঁজি। সে জানে গুহার ভিতর আশ্রিত হয়েও কীভাবে বহু দূর ভেদ করে খুঁজে নিতে হয় সাবধানতা। সুজলা সুফলা পার্থ যুদ্ধ ভেবে নিতে নিতে তুমি আগুন ভুলেছ, চাবুক ভুলেছো৷ নির্বিষ ফণা দিয়ে খেয়ে নিয়েছো মণিপদ্ম।
আমি এখনো জানি প্রতিদিন সূর্য ওঠে, অস্ত যায়। বিষণ্ণ ছেলেটিকে সারাটা মেলায় সমাজ বললাম, দায় বললাম৷ সে ফ্যাল ফ্যাল করে কড়া লিকার নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলো। বহু আগে আমাকে আঁতকে উঠে ভয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো, আমাকে তুই সব সময় এরকম কেন করিস? সেই আর্তি নিয়ে চাকা ওঠাতে গিয়েছিলাম গর্ত থেকে, ফিরে এসেছি। কড়াই থেকে নামাতে চেয়েছি পলান্ন, ফিরে এসেছি। তার তৃষ্ণা জুড়ানো নীল রঙের জলাশয়ের শিকলে কটা রাজহাঁস ছাড়লাম।
টকটকে লাল পলাশ, রক্তগোলাপ আর বাগান... বাগানের ফুলের গন্ধ খুঁজছি না আর, জলের শুদ্ধতা চাইছি না রুমি। আমরা ঠিক ভুল ছেড়ে একদিন দেখা করবো। আমাদের নিজস্ব সামহোয়্যার অথবা নোহোয়ার, কোথাও একটা...
চিত্রঋণ-শোভিত রায়
ভালো লাগলো
ReplyDeleteভালো লেখা । তৃতীয় স্তবকটা সেরা
ReplyDeleteআহা!ভিতরের এই উজানি দিক্ টা খুলে দেবার নামই বোধহয় কবিতা!
ReplyDeleteঅনবদ্য চিন্তার প্রয়াস । কবিতার মধ্যে রঙের শুদ্ধতাও আছে, বিষের সঞ্চারও আছে । এককথায় লেখাটি বহুস্তরীয় । ছত্রে ছত্রে মিশেছে দৃষ্টির সঙ্গে জীবনবোধ ও গভীর আর্টের একটা ব্যপ্তি । এমন কবিতার যদি সিরিজ লেখা যেত, বেশ হত ।
ReplyDeleteতোমার প্রতিটা লেখায় একটা পরিণত প্রকাশভঙ্গী আর বাচন-স্বাভাবিকতা পাই।
ReplyDeleteএতেও তাই।
গদ্য ও কবিতায় সমান সাবলীল।
আরো পরিণত এবং অভিজ্ঞতা-বলিষ্ঠ হোক তোমার লেখাগুলি।
অনবদ্য
ReplyDelete