বাক্‌ ১৪০ ।। রণজিৎ অধিকারীর দুটি কবিতা




তুমি ও কবিতা

কবি --কীভাবেই-বা সে খাড়া পাহাড়ের তুষারপুঞ্জের
                                                       কাছে যেতে পারে?    
স্মৃতি কি ভাস্করকৃত কোনো মূর্তি?
তুমি যা ধারণ করো, তুমি, তুমিই?
যা হয়তো কাল্পনিক শরীরের মতো কিছু অবয়ব;
আমি শেষতক কোন অবয়বের কাছে পৌঁছোতে পারি!

কোথাও, হয়তো-বা সত্যিই কোথাও বড়ো বরফের চাঁইয়ের মতো
স্মৃতি জমে আছে, ঠান্ডা অটুট
কবি -- তার কতটুকু ছুঁয়ে এসে লেখে তার কবিতা?

অবয়ব এক ধারণা, স্মৃতি দিয়ে তাকে রচনা করি যদি, --
আর সেই স্মৃতি অলক্ষিত সে-কোন ভাস্কর হাতে নিয়ে
তালতাল করে বানায় আর রাখে!
সেই নিঃসীম অন্ধকার থেকে এসে কবি দেখে --
তুমি ও কবিতা খাড়া পাহাড়ের তুষারপুঞ্জের মতো
                                                অগম্য দূর কল্পনামাত্র    






সমুদ্র হয়তো অনেক দূরে কোথাও

আমরা কি খুঁজে পাব সেই বসন্তকালের রোববারগুলো?
ধরো, যেখান থেকে তারা আসে সে-ক্ষতস্থান! কিংবা
সারা শহর যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে নিরাপদ বেলাভূমিগুলিতে --
সেই দগদগে ভালো লাগা!
আমরা মনেও রাখিনি, কবে থেকে আমরা আশ্চর্য হতে ভুলেছি

তবু সমুদ্র, তবু বসন্তকাল, তবু রোববার, তবু যোনি...

তারা তার আছে -- আমি তুমি আমরা হয়তো সব্বাই
যেন গেট পেরিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছি একের পর একনা জানি
ছেনি হাতুড়ির কথা, না কীভাবে এসব বানানো তার জ্ঞানগম্যি
তাই কি রোববারের আগেই মুখোমুখি হই যোনির কিংবা হয়তো
প্রার্থিত সব রোববার এসে পড়ে বসন্তকালের  আগেই!
হয়তো যোনিকেই ভেবে বসি এই-ই বসন্তকাল আর
এক রোববারকেই আস্ত বেলাভূমি -- যেখানে স্থলভূমির ক্লান্তি
স্তূপাকার হয়ে থাকে মৃত মাছেদের মতোআর সমুদ্র,

তাকে কোথায় খুঁজব?   


                                                  চিত্রঋণ- পাবলো পিকাসো                                                  

                                           

2 comments: