চন্দ্রবিন্দু
পাখি
এবং ব্যাধ-এর পারস্পরিক যৌনতায়
বিন্দু, তুমি সরলরেখা
দিয়ে পৃথিবী আঁকতে পারবে?
বোতলের
ছিপি ভেঙে গড়িয়ে যাওয়া জল,
আমাদের অন্ধ উঠোনকে
ফোয়ারা চেনাতে ব্যর্থ
ফাঁকা
অন্ধত্বে প্রেমিকা দাঁড়িয়ে থাকবে কতক্ষণ?
আমাদের
ফিরতেই হবে–ক’টুকরো ময়ূরমাংস আর মদে
ফেরা
নিজের
পাশে বসে থাকতে ভালো লাগে না...
শামুকক্ষেতের
মধ্যে উবু হয়ে লুকিয়ে থাকা শঙ্খ—
হে পরাজয়, আমাকে আর
তোমাকে
সঙ্গমরত দেখে ফেলেছে!
এই নুন নিয়ে বাড়ি
ফিরে যাওয়া কঠিন; এ নুন মেখে
আয়নার সামনে কুঠার
হাতে নেওয়া কি সহজ?
ক্রমে
জোট বেঁধে আসছে
তোমার আঙুল ও আল্পনা
ভাঙার শব্দ;
দ্যাখো, পাশ ফিরে
শুয়ে পড়ল—পাক খেতে থাকা
কৈশোরকালের সাইকেল এবং জনজীবন...
ছোট-ছোট
রাস্তা ধরে গন্তব্যে পৌঁঁছোনো আমি
বৃহত্তম রাস্তার অন্ধকার
বেয়ে, পোশাকের ভেতর
ফিরতে ফিরতে ভুলে
যাচ্ছি—আমিও একটা মূর্তিপূজা
সাবান
কাঁদো,
কাঁদো; কান্নার পাশে কান্না শুতে শুতে
এলিয়ে উঠুক একটা নদী—
ডুবে
মরো নদীটির স্নানের ভিতর;
যতক্ষণ-না শরীর কচলে
গায়েব হচ্ছে
যন্ত্রণার দাগ!
পলিটিক্স
মাঝেমধ্যেই
তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে
দ্যাখা হয়ে যায় জুয়ার
বোর্ডে
তোমার
দেওয়া ফল, বেলপাতা, প্রণামী, ধূপকাঠি
সমস্তই যেদিন আমার
কাছে খুইয়ে বসে—
ওসব যত্ন করে বাড়ি
নিয়ে আসি,
নিজের দেবতার জন্য!
সিকিউরিটি
যত্নগুলো
পুড়িয়ে ছাই করবার আগেই
জঙ্গল থেকে বেরিয়ে
এসেছে ক্ষত-বিক্ষত দেহ
পিঠভর্তি বুলেটের
খিল;
পকেটভর্তি বারুদআলো;
কাছে এসো, স্ত্রী
হয়ে পাশে দাঁড়াও এবার—
এত
শূন্যতা, ভেতরে উঠে দাঁড়াবার লোক নেই একটিও...
দাঁড়িয়েই, হ্যাঙ্গারের
পা-দানিতে কলিজাকে রেখে
বিচারালয় পর্যন্ত
টেনে নিতে হবে রক্তরস!
দ্যাখো–আমাদের
ঘরভর্তি পুলিশি-তল্লাশি...
শহরজুড়ে মুখ লুকিয়ে
রাখবার কারবার আমাদের...
মাথায় বিটনুন আর শেকড়
গুঁজে-গুঁজে
মাধ্যমিক-স্টুডেন্টের
মতো মুখস্থ করছি
পুনরায় নতুন করে জন্মানোর
ফর্মুলা।
গোটা
সৌরজগৎ পায়ের কাছে খসে পড়বে হুংকারে,
তোমার দু-হাতে দুটো
সানাই
আমার শরীর পাহারা দিচ্ছ হামাগুড়ি খেতে খেতে...
চিত্রঋণ- শোভিত
রায়
ভাল লাগল ।ভাই ।
ReplyDelete👌
ReplyDeleteমাগো এই ছেলের হাতে কী আছে? এর প্রতিভার ছিটেফোঁটাও আমাকে দিল না ঠাকুর!এবার সিরিয়াসলি বলি অনবদ্য লেখা!মেলানকোলিক।। সেইকারণে স্পর্শকাতর।।
ReplyDeleteভালো লাগলো প্রতিটি
ReplyDeleteভালো লাগলো
ReplyDelete