বাক্‌ ১৪০ ।। জ্বরের কাব্য ।। প্রীতম বসাক



পৃথিবী কাশছে
তার সুপ্রাচীন ঘুড়ি  উড়ছে জ্বরে

আক্রান্ত চোখ তোমার
সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি তার হাওয়াঘড়ি

মাশুল যুদ্ধে আমরা হেরে ভূত হয়েছি
আর আশ্চর্য শরীর নিয়ে চলে গেছি অরণ্যবাজারে

সেখানে তুমি পড়ে আছো
থার্মোমিটার উপচে গেছে ঘটনায়
সে ব্যর্থ সেবাপরায়ণ
হাত টপকে পালিয়েছে তার লবঙ্গ প্রতিভা-
                                  কাশির নিরাময় আলো





জ্বর বহির্ভূত একটি ব্রীজের কথা ভাবা যেতে পারে

আকাশের বমিভাব কাটানোর জন্য
ঠোঁটের প্রোটিন ভিজে যাওয়া খুব দরকার

তিমির আমার বন্ধু ছিল একদিন
আমি তার হাতে লণ্ঠন সেলাই করে পালিয়ে এসেছি

নদীগুলোর লিক সারাবে বলে সেই যে
মন্ত্র খুঁজতে গেল পিতামহতুল্য ফকির

তার হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য রকমগুলো নিয়ে
আমি পাণ্ডুলিপি  ঘুরিয়ে দিতে পারি
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দিকে

ওখানে কাল থেকে জ্বর নামানো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে




যারা শংকরপুর থেকে হস্তশিল্প ধুয়ে এল
তাদের তিনদিন পাখিদের সাথে মিশতে দিও না

নুন উহাদের রঙিন জামা খেয়ে গেছে
খুব কালো লাগছে প্রতিটি সূর্যোদয়
ওদের আলো পুড়ে গেছে জ্বরে

কিছু কাঠবিড়ালি এসেছিল সংবাদ সংগ্রহে
কিছু আতাফল ফেটে পড়ছিল ক্ষোভে

হালকা মেঘ ছাড়া কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি
ঢেউ ব্যবসায়ীদের

কেননা সমুদ্র বড় সংক্রামক কাণ্ড ঘটায়
পাখিদের প্ররোচনা দেয় জ্বরে পড়তে নুনে পড়তে  
আমাদের পথ কেনার  খরচ বৃদ্ধি  ঘটে


                                        চিত্রঋণ- পল গগ্যাঁ (landscape at pont aven)

8 comments:

  1. অদ্ভুত ভাল লেখাগুলো। মুগ্ধ হলাম, প্রীতম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমিও খুব খুশি হলাম দাদা । প্রীতম

      Delete
  2. মন ভরে গেলো পড়ে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন - প্রীতম বসাক

      Delete
  3. কবিতাগুলো সকাল সকাল মন নির্মল করে দিল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি তো কিছু বলো না আমার লেখা নিয়ে। তখন মনেরে বলি নিশ্চয়ই এমন কিছু লিখতে পারিনি তাই দাদাকে পড়িয়ে নিতে পারিনি । আজ মন খারাপ দূর হয়ে গেল দাদা৷প্রীতম

      Delete
  4. ভালো লিখেছো প্রীতম। তার চেয়েও বড় কথা - সাবলীলভাবে নিজেকে কি সুন্দর করে পাখি বানিয়েছো ! নির্ভেজাল আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলো ,এমনভাবেই ।

    ReplyDelete