এক
উৎসর্গ
: জর্জ গর্ডন বাইরন, ষষ্ঠ ব্যারন বায়রন
কে বলো
তো তুমি? দেখি আবার ডাক দেও! আমরা তার কাছে না গিয়া
খালি হাসতাম। মজার বিষয় হইলো আম্মুও ফোনে প্রথম দিকটায় কনফিউজ যাইতো, কার সাথে কথা
বলতেছে সে। আরো অনেক ফোনালাপে আমরা দুইজনই অংশগ্রহণ করছি কিন্তু অপর প্রান্তের লোকগুলা
বুঝতোনা। যাইহোক, ও সিমু, আমার বেস্ট
ফ্রেন্ড, সাথে আমার খালাতো বোনও। আমাদের দুইজনের সবচাইতে
পুরানো স্মৃতি হইলো হাগু বিষয়ক, আমরা তখন অনেক ছোটো, প্যানে বসে হাগু করতে পারি না। নানাভাই আমাদের জন্য দুই জোড়া ইট উঠানের
শেষ প্রান্তে নিয়া সেট করে দিলো। বিশাল উঠানটা শেষ হইছে একটা ছোট্ট খালের পাশে
গিয়া, সেই খালপাড়ে বইসাই আমরা দুইজন হাগু করতাম। খালের উপর কালভার্ট
থেকে ফাজিল কতগুলা পোলাপান আমাদের হাগু নিয়া শ্লোগান দিতো-- পুপু হাগু দিয়েছে লাল
গু খেয়েছে। সিমু হাগু দিয়েছে লাল গু খেয়েছে। সোশ্যাল মানে কি? সামাজিক...এই আপনারা এখন সামাজিক
ব্যাপারে উল্লসিত আচ্ছা আপনাদেরই কোনও বন্ধু যখন জকি আন্ডারওয়ার পড়ে ফেবুতে ছবি
দেয়, তখন কোথায় হারিয়ে যায় আপনাদের পুরুষালি প্রতিবাদ?
ওদের দেখে কিন্তু আমার জল খসে না.. বৃন্তে ফুলে ফোঁটে না। কাম বাসনা
তৃপ্ত হয় না। বসন্ত তো বিলুপ্তপ্রায় নিঃসঙ্গতা নারীত্ব পূর্ণতা পায় না "আমারও
স্বামী ছিল, তারই হাতের অগোছালো সোহাগে আমার ওই খাঁজ দেখা
যাচ্ছে, আপনাদেরই সদোর ভাই। সেও শরীর এ যতদিন তার রস ফেলে আমাকে
নিংড়েছে, ততদিন আমাকে তার নিচে চেপে নিষ্পেষণ করেছে, তারপর নতুন কচি ফুল পেতে চলে গেছে...তাতে কিন্তু কারুর একটাও কোঁকড়ানো বাল
ছেঁড়া যায়নি । আর আমার এই বড় মাই(আপনাদের ভাষায়) দেখে আপনাদের প্যান্ট ফেটে
যাচ্ছে।"আজ আমার সাজানো সাজঘরে কালো আঁধারিদাগ ।আমার ভ্রমণ আমাকে ইউরোপ এবং
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে এসেছিল এবং আমিও ছিলাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি
করেছে যে বিশ্বের এক ঝলক। আমি যা
দেখেছিলাম তা কী হবে তা পূর্বরূপ ছিল লালসার অভিশপ্ত দিন।হিন্দু ধর্মের সূর্য লাল
বাবুর কন্ঠে গরু কোরবানির গান শুনুন এতো আন্তরিকতা, এতো
ভালোবাসা আজকাল খুব বেশি দেখা যায় না। আনন্দে,কবিতায়,
আড্ডায় ভেসে গিয়েছিলাম সেদিনের সন্ধ্যেতে নাক খুঁটতে শুরু করেন।
একাগ্রতার সাথে তিনি নাক খুঁটে যাচ্ছেন।আপনি সঙ্গে আছেন তো ? এজন্য আমি আপনাকে বিউটিফুল দিদি বলি।কত সুন্দর লিখলেন।দারুন বললে ভুল বলা
হবে।এটি ফাটাফাটির পর্যায়ে চলে গেল। প্রেমিকার বিভ্রান্তিকে ভালোবাসতে গিয়েছিলিস
শালা বুঝতে পারলাম না।
দুই
উৎসর্গ : পাবলো দিয়েগো জোসে ফ্রান্সিসকো দে পলা হুয়ান নেপোমেসেইনো মারিয়া দে লস
রেমেদিয়োস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্টাসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ও পিকাসো
যা কিছু অসমাপ্ত কুশ্রী, হেলাচ্ছ্যেদা স্বরূপ তাকে
কেবল কল্পনার ফাঁসি
কার্যকর
না হওয়া পর্যন্ত কোন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেইলেন না।ওমা গো এই
ভর
দুপুরে কি যে শুনলাম,উফফফ আমার হাসি থামিও না কিন্তু হিসু
আটকে দাও, রাস্তায় হয়ে গেলে মান সম্মান পুরো চু* চ হয়ে যাবে, জাম্বুবান
প্লিজ হেল্প মি কেন যে শুনলাম, হাসতে হাসতে পেট থেকে বাইরায় এই হীরক রাজার দেশ, অসম্ভব বলে
কিচ্ছু নাই। কুন্ডলনী শক্তি জাগ্রত তোমার নামের প্রভু বিস্তার এমনইসব রন্ধ্রপথে
ঢুকে জানান দিচ্ছে নিয়মের বসবাস –সরিয়ে দাও, এটাই মায়া যত নষ্টের গোড়া নতুন কাউকে ঘরে আনো। এমনই তা শক্তিশালী, কাল-কালাতীত খোলা চোখে মোহ পাপ বাপকেও ছাড়ে না । তার সেই কল্যান রূপকে আমি দেখি। এই বিরাট স্বত্বাকে
আমার অনুভবে স্পর্শ করি এই সকল স্বত্বার আত্মীয় সম্বন্ধের ঐক্যতত্ত্ব ক্ষুধার্ত চোখে ইজেল লাগাতে চায়, খাবার দেওয়ার কথা ভাবে না। নবজাগরণ নিয়ে অনেক ভিন্ন মত আছে,
কারা বদলালো? আমরা নিজেরা ? নাকি প্রযুক্তি, পারি, ও বউমা,
ওদের ভাতের বদলে ছাই বেড়ে দাও,"আজা সনম
মধুর ভোট ব্যাংক ছিল আলি কুলি”; মা-কে এখনও স্বাভাবিক করতে পারিনি। বুঝি, এই হারানোটা ভাষায় বোঝালে বীরানে মে ভি আ জায়েগি বহার যবনবিদ্বেষী যে ছেলেটার সাথে তুমি আমি ভুলে বেড়াই আজ তার বউএর ঝামেলা হলো তুমুল,
কোথায় সে? দুজনেই দুজনকে কষিয়ে হসন্ত ছাড়া
আনন্দ হয়!! থাপ্পড় মারলো। রাস্তায় ঘোরালো ঘনীভূত নির্যাস নিশুতি থমথম কিতা করতাম? কেউ জানলে
বাতাও; তারপর ছেলেটি হাতেপায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে ঘুমোতে গেল,পাপ বাপকেও ছাড়ে না । ইহা কেমন বস্তু? মান্যজন
আলোকপাত করিলে এ অজ্ঞের কিছু সুবিধে হয়; স্ত্রী লিপস্টিক মেখে সুইসাইড করেছে।উনুন থেকে গরম ছাই তুলে
দাও।আবার মানুষের সুখ ও দুঃখের মাথার চুল ট্যু পায়ের নখ ইস্ত্রিমার্কা সাজগোজ করে ছিঁচকে দুঃখ সাজাবেন?
মিনিমাম একটি আলোমিছিল? এসব দেখে আমারই মাভৈঃ বলে নগ্ন হয়ে রাজপথে নামুন এক হয়ে। দিকে দিকে। পুরুষ, তুই দেখ! দেখ! কথা লিখবেন সেটা যদি দুর্বোধ্য আঁতলামো মা, কিন্তু মুশকিলটা ক'দিন থেকে দেখছি, আমি তাঁদের একটা বাল ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারি না,
বুভুক্ষু মানুষগুলোর ঘাড়ের লোম ফুলে যায়। পুরুষ সিংহ আর কী! দারুণ লিখেছ গুরু।চোরে যা সিঁধ কাটছ্যে
কইষ্যে ডর লাগছ্যে, ভুলকায় দিয়্যে
লিজের নামে বিকে দিব্যেক মেয়ে মানেই তো শুদ্ধতম কবিরও খিদে পায়,
কবিও মলত্যাগ করে, শরীর টা আমার কাছে ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার নয়, সে শুলে আপনি শুতেই পারেন, কিন্তু আপনার মন আমার কাছে
গুরুত্ব পায় অনেক বেশি। যে আদর করার পর চোখের দিকে তাকিয়ে দু ফোঁটা জল ছলকে উঠবে
না; অসামাজিক, নিষ্কর্মা, ভীতু, নির্বোধ আর পূর্ণঅলস আমি…..
অনেকদিন পর আবার ডুবে গেলাম। স্মৃতিবনে এখনও এমন ফুল ফোটে , এখনও এমন পাখি ডাকে , এখন নির্জনে মনের উঠোন রাঙায় তা টের পেলাম । একটি লেখা তার বহুমুখী দরজায় উপনীত হওয়ার চাবি তুলে দেয় । বাংলা সাহিত্যের পথে যারা নেই যারা মলয় রায়চৌধুরীকে পড়েন না তারা যে কতটা বঞ্চিত পরিমাপ করা যাবে না ।
ReplyDeleteএতো সত্যি কথা বলতে নেই গো... কষ্ট বাড়ে। কলমটা আমায় দেবে গো হাংরি জ্যেঠু? ভালো থাকো এটুকুই চাওয়া। কবিতাগুলো বাড়তি পাওয়া। শ্রদ্ধা!
ReplyDelete